বাক্‌ ১৪৫ ।। অনিন্দ্য রায়

 

 

তখনও স্কুলের বেলা

 

রজ্জুভ্রম, তখনও স্কুলের বেলা, তখনও সাপের চিন্তা আসেনি জীবনে

 

প্রত্যেক বছরে আসে একেকটি গিঁট, প্রত্যেক নাগরদোলা উত্তেজিত করে

 

তুমিও জড়িয়ে ধরো, মুখ তোলো, আয়নাকে বুকে চেপে খণ্ড করে দাও

 

তখনও ভয়ের সন্ধ্যা হেলেদুলে মাঠের পাশের ঝোপে অন্তর্হিত হত

 

 

ট্রেনভ্রমণের মতো

 

ট্রেনভ্রমণের মতো ঝুমঝুমি বেজেছে, অচেনা রজনী তবু পোহাতে বধির

 

এক হাত, দুই হাত, সমস্ত শরীরে হাত গজিয়ে উঠল, যেন ধরাটাই প্রেম

 

এবং আঙ্গুলগুলি বাদ্যকার নিজে আর নখের তলায় আছে লুকোনো বারুদ

 

এবং স্টেশন এলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে... চা-ওলা ছুঁয়েছে যেই মহাবিস্ফোরণ 

 

 

 

এসো, লুডো হয়ে যাক

 

এসো, লুডো হয়ে যাক, ছক্কা ফেলে জন্মদিন আগুপিছু করি, লড়ে যাই

 

ঘুঁটির যৌনতা নিয়ে আমাদের অনুভূতি সোচ্চার না হলে... “ছাড়ো, ওফ!”

 

মোমবাতি, বেলুনউদ্যান, গানের টুকরো আর কেকের বদলে সশরীর

 

হ-শরীর, ম-শরীর, সকল বর্ণের শরীরেরা, জন্মদিন ব্যতিব্যস্ত করে

 

 


4 comments:

  1. কি লেখা!! কুর্নিশ জানাই।

    ReplyDelete
  2. অন্য মাত্রার, অনন্য স্বাদের কবিতাগুচ্ছ।

    ReplyDelete
  3. অসাধারণ। খুব ভালো লাগলো, প্রিয় কবি।

    ReplyDelete