হঠাৎ বিপ্লব
♦️
শহর থেকে গেরাম, গেরাম থেকে ঘর, ঘর
থেকে ছড়িয়ে পরে জনেটনে—
টেন্ডারবাজি,
চোরাচালান,
মানব-প্রচার,
চাঁদাবাজি,
মাদক-কারবার,
নৈরাজ্য,
সিমা-ঠেলাঠেলি,
বড় হতে হতে আস্তয়েক ফুটন্তবেলুন;
–আঙুলের করাত দিয়ে কাটে হৃদয়ের হাত...
সদ্যভূমিষ্ট পুত কামফুলটি ডলার ডলার
কর্জ মাথায় নিয়ে ফুটে,
একটু স্বস্তিতে নেই নদী, পাহাড়;
এমন অসহনীয় বেইল পরে প্রতিদিবস
অতঃপর
উম্মুক্ত সেতু—
ভূরিভূরি প্রতিশ্রুতির কলকাঠি নেড়ে
সকাল, দুপুর, বিয়াল আসে যায়
সুসময়ের প্রতীক্ষায় বাঁচে মানুষ
একটা সময় সুঁই হ'য়ে জেগে ওঠে আপোষহীন চিরঞ্জিৎ
দা, কিরিচ, ছুরির শব্দ নেই কোত্থাও,
নেই গুলাবারুদ, বোমারুবিমানের চিৎকার, কোত্থাও
নেই রক্তপাত;
আসে হঠাৎ বিপ্লব, আসে সুসকাল
ভালো ভাষা, এবং ভালোবাসা।
প্রাক্তনের মুখাবয়ব
♦️
কাশফুল দোল খেলে ছুটি শরৎনদীর
নাগাদ।
বাদাবন, কাঁটাজাঁইরবাগানে ভাঙাভাঙা
রইদ; জুনিপোকার ফালিফালি জোছনা,
অনন্তর নব্যহলুদ ঘেরাণের দিকে ছুটছি
আর ছুটছি—
অথবা- গাছে কাঁঠাল কাঁঠালে আঠা নিয়ে
পার করছি ফলের জীবন
আবেগের জুতো খুইলা দ্যাখি, প্রেম মস্তরকময়েক খেদ।
এবং
নিরামিষ প্লেট অথবা কাগজের-মুখ উধাও
করে;
সর্বোপরি
প্রকৃতির ম্যাসেজে আপডেটে
খুঁজছি প্রাক্তনের মুখাবয়ব।
নির্বাসন তদন্ত
♦️
একটা বাদামিশিশু কুয়ো থেকে পানি তুলছে,
জলের উপর ঝিলিক মারছে কাঁচারইদ, আমরা হেঁটে যাচ্ছি পায়ের দিকে, আমাদের সাথে যুক্ত হয় সমূহ-ভেড়া;
এতক্ষণে মুক্তারপাড়ায় ঝরে গ্যাছে
টসটসেসূর্য, ভিজা গ্যাছে মর্জিমা
খালার চোখ, মুছে গ্যাছে রঞ্জিতা পিসির সিঁদুর!
সমাজশাসন
আমাদের নামে হুলিয়া জারি করে, একসময় আমরা জাম গাছের নিচে বসে আপনশাস্ত্র পাঠ
করছিলেম, এসব শুনে কোনয়েক গুপ্তচর—
যেখানে লেখা ছিলো (ভেড়ার গোস্ত
নাজায়েজ এবং মানুষের গোস্ত ভেড়ার বংশধর!)
কনজুমার
♦️
...তারপর
আমার ভিতর চেটেপুটে খায় অরিন্ধীতা
নামক ছুরি
দীঘির উপারে কবর কুড়তে কুড়তে
চল্লিশা সারে রাফসান
অথচ
পাখির ময়নাতদন্ত হয়, পশুর সেক্স নিয়েও হয় সংবাদের লিরিক!
কিন্তু মানুষ যেহেতু ভোগ্যপণ্য
ওদের হয় কনজুমার জীবন।
বাঃ! হঠাৎ বিপ্লব মুক্তারপাড়ার ঝরে যাওয়া টসটসে সূর্য,মর্জিমা খালার ভেজা চোখ আর রঞ্জিতা পিসির সিঁদুর মুছে দিয়ে, আমাদের নামে হুলিয়া জারি করে কনজুমার জীবন অব্দি পৌঁছে গেল।
ReplyDeleteবাহ্ পরতে পরতে নরম প্রতিবাদ ফুটেছে।♥️
ReplyDelete