১
এবার
অনুপমের জন্য কবিতা লেখার পালা।
নিজের
জন্য, প্রেমিকপ্রবরের জন্য, বাবা মা বোনের জন্য,
ছোটো
পরিবার, বড় পরিবার,
এমনকি
বাচ্চার জন্য, নাতির জন্য, একখানা পুতির জন্যেও
লেখা
শেষ করে
লিখতে
বসেছি অনুপমের জন্য
কারণ
অনুপম বড্ড বকে
কেউ
পাছে না-দেখে চলে যায় –
সারাদিন
বলে যায় – আমাকে শোনো, আমাকে পড়ো
এত
এত আমি আমি আমি আমি
এতই
যে
আমার
জন্য লেখো বলাও একরকম মানিয়েই যায় তাকে
ফলে
অনুপমের জন্য লিখতে বসেছি আমি
এটুকু
বলব বলেই
২
মনে
হল ঠাট্টারও শেষ নয় এখনই
মনে
হল যে কোনোদিন মরে যেতে হলে
অনুপমেই
দোষ কি!
চিনিনা, দেখিনি বলা অজুহাত
নয়
মৃত্যুও
না চিনে না দেখেই আসে
কবিতাই
তার বেশ কি!
গণনাহীনের
দল গণ হয়ে ওঠে যদি
পরিচয়
কেড়ে নিতে কয়দিন লাগে!
চিনিনা, দেখিনি বলাই
দস্তুর তখন
তবুতো
তেমন কোনো অজুহাত দিয়ে
নৈঃশব্দ
বাছিনি আমি, বধিরও নই
স্বাতন্ত্র
খুঁজছি শুধু অন্য সব তন্ত্র হারিয়ে
নামগুলো
জড়ো করছি, গণচিতা, গণকবর থেকে
৩
অনুপমের
জন্য এই আমার তৃতীয় ও শেষ
নিছক
কথার গুলি কতদূর গড়ায় দেখতে গেলে
অনেক
অনেক দূর অনর্থক চলে যাওয়া যায়
অর্থে
কোনো আহামরি নির্বাণ নেই,
অনর্থেও নেই
স্রেফ
থেমে যাওয়া কথার ভেতরে জমে ওঠা কথার আশ
যতক্ষণ-
ততক্ষণই
শ্বাস
অন্যরকম। কিন্তু কবিতা আছে।
ReplyDeleteভালো লাগল
ReplyDelete