বাক্‌ ১৪৭ ।। রঙ্গন রায়

 

 

করোনার দিন গুলিতে প্রেম

 

চলো,

এখনই আমরা আমাদের সব রাগ - অভিমান - ঝগড়া ভুলে গিয়ে ফিরে যাই পুরোনো দিনের প্রেমের কাছে। ৭৩ মোড়ের দিকে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ থেমে পড়ি কোনো কুয়াশা জড়ানো অলৌকিক চায়ের দোকানে। যার বাদামের মতো শান্ত রঙের বেঞ্চে পা ছড়িয়ে বসে, তুমি আমাকে নিয়ে যাবে তোমার নিজস্ব নিয়ন আলোয় ...

বলে উঠবে,

''আকাশের কাছে শুনেছিলাম, মেঘের রঙ যখন হয় গাঢ় - লাল, তখন যে বাড়ির শিশুরা খেতে বসে মায়ের থালায়, তাদের ঈশ্বরপ্রাপ্তির কোনো প্রয়োজন হয় না।"

 

 

 

 

 

 

করোনার দিনগুলিতে প্রেম

 

মৃত্যুর পর বিখ্যাত হবে বলে তোমার পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতের ভার আমার হাতে অর্পন করেছো তুমি

এইসব আলোচনার ফাঁকে, প্রকাশ্য গোপনে, তোমার ঠোঁট আলতো ছুঁয়ে যায় আমার গাল

লজ্জায় রাঙা হওয়া ভুলে গেছি বলে নির্লজ্জের মত আমি আনন্দিত হয়ে উঠি

বিশ্বাস করি, এই অতিমারী, আমাদের হত্যা করতে পারবে না ---

শুধু বিষণ্ন বাতাস, শুকনো পাতার বদলে আমাদের চিন্তাপ্রবাহ উড়িয়ে নিয়ে যায়

কদমতলা হয়ে ওঠে ঈশ্বরের এদন বাগান

 

 

করোনার দিন গুলিতে প্রেম

 

ফুল ফুটুক না ফুটুক, শীতকালের বৃষ্টিতে তোমার শরীরে ফুটে ওঠে লালাভ তিল

এসবের কথা শত শত মুগ্ধ প্রেমিক লিখে ফেলেছে তোমার জন্য

যত রকম উপমা ব্যবহার করা যেত সমস্ত, সমস্ত কিছু নিঃশেষ হয়ে গেছে

আমার জন্য  কিছুই কি ফেলে রাখা নেই?

বলো, কখন তুমি বুকের ভেতর আস্ত শীত রাখো

কখন রাখো, নেপালি মেয়েদের দুর্বোধ্য ভাষা?

কেন তোমার প্রতিদিন মন খারাপ হয়! কিসের টানে ভালো হয় ফের?

আমি ইদানিং ভাবিনা, বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ কেমন অবলীলায় টপকে গেল,

কোটি কোটি প্রেমের স্মৃতি হারিয়ে গেল তাদের সঙ্গে

এসবও তো ভাবার কথা ছিল বলো?

স্বার্থপর আমি ভীষণ, তোমার ভেতর আমাকে খুঁজে বেড়াই,

আমি তোমার ভেতর উপমা খুঁজে বেড়াই শুধু

 

 


4 comments: