আমি ও ইঞ্জিন
যতক্ষণ পারি, ইঞ্জিনের সঙ্গে কথা বলি,
শুরুতে কিছু বোঝা যায় না, যেন খুব দুর্বোধ্য ভাষায়
সে কথা বলে কিন্তু ধীরে ধীরে আমি ওর ভেতরে ঢুকে পড়লে
তখন জলের মতো মনে হয়।
ওর ক্ষীণ হয়ে আসা স্বর বুঝতে অসুবিধে হয় না,
যখন জোরে শী(চি(ৎকার করে ওঠে ... তখনও।
যেমন অনেক বড়ো বিশালাকার মেশিনের ভেতর
অনেক অনেক ইঞ্জিন এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
... যে যার কাজ করে চলেছে,
কারুর দিকে তাকাতে চায় না— এমন ভ্রূভঙ্গি তাদের,
আমি খুব নিরিবিলিতে হয়তো নিজের পুরুষাঙ্গে হাত বুলোতে
বুলোতেই কথা শুরু করতে চাই ...
এবং আমি সবসময়ই চাই এই কথোপকথন হোক
উষ্ণ ও আর্দ্র একটা পরিবেশে— কেননা তখনই
ওই বিচিত্র ভঙ্গির নানা মাপের ইঞ্জিনগুলি
উন্মুখ হয়ে ওঠে এবং তারা খুব কথা বলতে চায়!
স্বভাবতই আমি এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিই
যেকোনো সংস্কার, এমনকি প্রাচীন ও মধ্যযুগের
হাজার হাজার পৃষ্ঠার শাস্ত্রগুলোকেও অবজ্ঞা করি।
কথোপকথন একটা নিবিড় বোঝাপড়া, আর
সেটা তখনই শুরু হয়, যখন মূঢ়ের মতো আমি
একটা ইঞ্জিনের কাছে যাই আর ঘ্রাণ নিতে থাকি।
একেবারে অন্যরকম যেমন রণজিৎ বরাবরই। খুব ভালো লাগল। কবিকে অভিবাদন।
ReplyDeleteএকদম অন্যরকম ভাবে আপনাকে পেলাম। ইঞ্জিনের সাংকেতিকতা কবিতাটিকে এক অন্য স্তরে নিয়ে গেছে।
ReplyDeleteঅসামান্য এবং ব্যতিক্রমী একটি লেখা।
ReplyDeleteভালো লেগেছে।
ReplyDeleteঅন্য ধারার কবিতা। রণজিতের স্বকীয়তার প্রকাশ ঘটেছে বারংবার। ভাল লাগল। অভিনন্দন।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো
ReplyDelete