বাক্‌ ১৪৭ ।। হিমাদ্রি চৌধুরী

 


খেঁকো

 

• 

 

সমুদ্রের বিপুল ঢেউ গাভীর বাটে এসে শাদা ঘর, শিশু গুলো চুক চুক কোরে প্রস্তুত সমুদ্র হতে, মা তো দাঁড়িয়ে থেকে দেখিয়ে দেয় পথ

 

মানুষ আমরা, যীশু যখন বন্ধু, তখন মানুষ গাছের রস শাল মমতায় গিলেছি, আজও যেভাবে পিপাসায় করি খুনে লাল

 

তাড়না তো থাকেই ভিতর, অক্ষর হয়ে কৃপাণ ধার পায়, জড়ো হয় বহুবিধ ঋতু, যেমনঃ কাম, মৈথুন, নির্জাস 

 

শাদা সমুদ্র গিলে, সমুদ্র হতে যেয়ে খেঁকো হয়ে যায় বিন্দুর দুরাচার।

 

 

 

 

 

আত্মমগ্নতা

 

.

 

আত্মমগ্ন হয়ে ডুব সাঁতারে ভুলে যাই ভাসমান জাহাজীর লাল চোখ ঝুলন্ত চাঁদের বেনারসি বেদনার ত্রস্ত সেলাই। বিক্ষোভ জাগে, নত হয়ে পড়ে ড্রপারের বিচ্ছুরণ...

 

এক ফালি কুমড়ো রঙের আলো আমাকে ভাগ করে রাখে মুদ্রার এক পিঠ জুড়ে। ও'পাশে নাইট ফলস্ ; শিশির ক্ষেত্রে কান্না হয়ে হাসে ঝিলিক কুমার। গভীর এক আড়ষ্টতায় বুকবৃক্ষে শাবকের ঘুম ভেঙে যায়।

 

য্যানো পৃথিবী এক মৃত্যু পথের দাঁগ। মগ্ন হয়ে এখানে কেউ কেউ বিলাপে আঁকেন আয়ুষ্কালের সৌরভ।

 

 

 

 

 

নন্দন

 

 

হাওয়ার লেজ ধরে টান দিয়ে গান শোন

করুণ ভাষায় তার বিজলি লুকিয়ে থাকে

হসন্ত যোগ কোরে গাঢ় মিথ ব্রেক কষে 

হাতের রেখায় পুষ্পকরথ ক্রমশ বিলিন

কিভাবে আমাদের পথময় কুয়াশার ঘোর

নামছে হাঁটু জলে আকাশ বাহিত নীল

কবরের প্রেমে লোক পুষে রাখা জানটারে

ডর ভয় বাদ দিয়ে ফুঁকে দেয় আন্ধারে 

কৃষাণ মাঠাতে ধরে শিশিরের টুপটাপ 

বউঝির কথাকাঁথা ছুটে সুপারির চনমনে

হাঁস হয়, ঘাস হয়, বাঁশের ডগায় রুপো

ভাবনার বাহানায় কাটছে মগজবুড়ো সুতা।


No comments:

Post a Comment